প্রান্তিক পর্যায়ে প্রবাসীসেবা পৌঁছানো হবে: প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী

অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি কর্মশালা হয়ছবি: সংগৃহীত

কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোকে (টিটিসি) নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রবাসীদের দক্ষ করে তুলতে নতুন করে প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম কেনা হবে। সারা দেশে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা বাড়ানো হবে। প্রবাসী কল্যাণ সেল চালু করা হবে, যার মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।

অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হেলভেটাস সুইস ইন্টার কো–অপারেশনের উদ্যোগে সিমস্ প্রকল্পের প্রথম ধাপের সমাপনী সভা ও লেসন লার্নিং শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। হেলভেটাস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষা ও কারিগরি দক্ষতাকে জোর দিতে হবে। প্রবাসীদের দক্ষ করে তুলতে বিচ্ছিন্নভাবে নয়, প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রাক্‌-বহির্গমণ প্রশিক্ষণ নিয়ে নানা সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। সে ঘাটতি চিহ্নিত করে সমাধান জরুরি।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জনশক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের প্রতিনিধি আইরিন হফসটেটর। হেলভেটাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেঞ্জামিন ব্লুমেনথালের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক আবুল বাসার ও উন্নয়ন কনসালটেন্ট হাসান ইমাম শাওন।

সিমস্ প্রকল্পটি কুমিল্লা, নরসিংদী ও চট্টগ্রামের মোট ২৩টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে; প্রায় এক লাখ সম্ভাব্য অভিবাসী মানুষকে অভিবাসন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারকে আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার জন্য বাজারব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে।

এ কর্মশালায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, শিক্ষাবিদ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ নেন।