মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কক্সবাজারের মহেশখালী ও মাতারবাড়ী এলাকায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ সমন্বিতভাবে করার জন্য একটি কর্তৃপক্ষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর নাম হবে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’।

আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মহেশখালী ও মাতারবাড়ী এলাকায় বড় ধরনের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই কাজগুলোকে সমন্বিত রূপ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ আইনের আওতায় একটি গভর্নিং বোর্ড থাকবে। এই বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। এর বাইরে একজন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা থাকবেন। সরকার তাঁকে নিয়োগ দেবে।

ওই কর্তৃপক্ষের মূল কাজ হবে নির্ধারিত এলাকায় ভূমির মহাপরিকল্পনা করা এবং মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী যাঁদের সেই ভূমি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে, তাঁরা যেন সেই কাজ করেন। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ এবং যাঁরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য সুযোগ-সহায়তার ব্যবস্থাসহ আরও কিছু কাজ করা হবে এই কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য।

আরও পড়ুন

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ওই এলাকার ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমি নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ থাকবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত এই কর্তৃপক্ষের মূল অফিস হবে কক্সবাজার এলাকায়। তবে ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস থাকতে পারবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি মূলত আগের আইনটি ইংরেজি থেকে বাংলায় করা হয়েছে।
এ ছাড়া গত জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিবেদন আজকের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।