লাশ কেটে ১০ টুকরা: স্ত্রী ও বড় ছেলের রিমান্ড
চট্টগ্রাম নগরে বাঁশখালীর এক ব্যক্তিকে হত্যা করে কেটে ১০ টুকরা করার মামলায় তাঁর স্ত্রী ও বড় ছেলের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
হত্যার শিকার ব্যক্তির নাম হাসান আলী। রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে, তাঁর স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, হাসান আলী খুনের মামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
ইলিয়াস খান আরও বলেন, হাসান আলীর আরেক ছেলে শফিকুর রহমানসহ জড়িত বাকি ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় খালের কাছ থেকে একটি লাগেজে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, পরে পিবিআই আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়। গত শনিবার সকালে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে হাসানের স্ত্রী ও বড় ছেলেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হাসান আলীর স্ত্রী ও সন্তানেরা স্বীকার করেন, ২৭ বছর হাসান পরিবারের বাইরে ছিলেন। এক বছর আগে তিনি পরিবারে ফিরে আসেন। আসার পর থেকে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর বড়তলীতে থাকে থাকা সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেন সন্তানেরা। কিন্তু লিখে না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে ছোট ছেলের বাসায় ডেকে এনে পরিবারের সবাই মিলে হাসানকে হত্যা করা হয়।