আজ বসন্ত নিয়ে এল ভালোবাসার ডাক

বন্ধুরা মিলে বইমেলায় এসে আনন্দে মেতে উঠেছেন। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলায়
ছবি: আশরাফুল আলম

রাজধানীতে হয়তো চোখে পড়ছে না রক্তিম পলাশের প্রস্ফুটন, অশোককুঞ্জও নেই এখানে। কোকিলের ডাকের বদলে অগুনতি যানবাহনের হর্নের কর্কশ শব্দই কান ঝালাপালা করে দেবে রোজকার মতোই। তবু আজকের দিনটি রোজকার মতন নয়। আজ বসন্ত। কবিগুরুর ভাষায়, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।/ তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/ কোরো না বিড়ম্বিত তারে।’ সুতরাং প্রাণে প্রাণে মহামিলনের মহোৎসবে মেতে উঠবে আজ অগণিত জন। কারণ, আজ ভালোবাসারও দিন। এসেছে ভালোবাসার ডাক।

পয়লা ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস গত কয়েক বছর একই দিনে পড়েছে। আগে পয়লা ফাল্গুন পড়ত ১৩ ফেব্রুয়ারি, তার পরদিন অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলা বর্ষপঞ্জির সংস্কার করায় এই পরিবর্তন।

আসলে ভালোবাসার জন্য কোনো বিশেষ দিনক্ষণের আবশ্যকতা থাকে না। তবু বেশ কয়েক বছর থেকেই পশ্চিমা রীতির ’ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ভালোবাসা দিবস বেশ উৎসাহের সঙ্গেই উদ্‌যাপিত হচ্ছে আমাদের দেশে। বিশেষত তরুণ প্রজন্ম তাদের প্রিয়জনের কাছে হৃদয়ের গোপন কথাটি বলার জন্য এই দিনকে বেছে নেন। ভালোবাসা দিবসে যুগলের বেড়াতে যাওয়া, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়া, উপহার বিনিময় আর মধুর বচনে প্রণয়ের কথোপকথনে কাটিয়ে দেন দিনটি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আজ থাকবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন। ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ স্লোগানে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে এবার ২৮তম বছরে পদার্পণ করছে এই উৎসব। সকাল সাতটায় উৎসবের সূচনা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলার সকাল। বিকেলে বকুলতলার পাশাপাশি উৎসবের কার্যক্রম চলবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক ও উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের বঙ্গবন্ধু উন্মুক্ত মঞ্চে।