করোনা ঠেকাতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নানা পদক্ষেপ
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধির খবরে সতর্কতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ এসব পদক্ষেপের কথা জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আগমনী হলে ইমিগ্রেশনের প্রবেশস্থলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম বসানো হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লাভসের মজুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশেও গত মে মাস থেকেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এরই মধ্যে করোনার একটি নতুন ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ব্যাপক সংক্রমণে সক্ষম একটি নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁরা আশ্বস্ত করছেন, করোনা বাড়তে থাকলেও পরিস্থিতি ভীতিকর নয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৬। ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও যান।
ভারতে করোনার যে নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে, এর নাম হলো এনবি.১.৮.১। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গত ২৩ মে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, এ ধরন এখন ক্রমেই ছড়াচ্ছে। এর সংক্রমণের হারও বেশি। ১৮ মে পর্যন্ত বিশ্বের ২২ দেশে ৫১৮ রোগীর দেহে নতুন এ ধরন জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সংক্রমণের সংখ্যা এখনো অনেক কম হলেও আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সংখ্যা ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।