মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যক্রমের হালনাগাদ প্রতিবেদন তিন মাস পরপর দাখিলের নির্দেশ
চূড়ান্ত ছাড়পত্রের পর মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের হালনাগাদ প্রতিবেদন তিন মাস পর পর আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে গণমাধ্যমে আসা ওই অবস্থাপনার কারণে ভুক্তভোগীদের (চূড়ান্ত ছাড়পত্রের পর মালয়েশিয়ায় যেতে না-পারা কর্মী) জীবন ধ্বংস করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় যেতে ভুক্তভোগীদের জমা করা অর্থ মুনাফাসহ ফেরত ও পরে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে ‘৩০ হাজার যুবকের স্বপ্ন ভেঙে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট’ শিরোনামে গত ২ জুন একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘মালয়েশিয়ায় চাকরি: অব্যবস্থাপনায় তিন হাজারের বেশি কর্মী টিকিট পায়নি’—এমন শিরোনামে একই দিন একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
প্রতিবেদন দুটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ গত ৩ জুন রিট করেন। রিটে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে এবং প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটটি গত ৩০ জুন আদালতে ওঠে। সেদিন অব্যবস্থাপনার অভিযোগ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেন আদালত।
গতকাল সোমবার বিষয়টি ওঠে। এ-সংক্রান্ত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের তথ্য গতকাল আদালতে তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আদালত আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন রাখেন। আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনের অংশবিশেষ, সুপারিশ ও সুপারিশের ভিত্তিতে কার্যক্রম তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।