শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় আর দুই-একজন সাক্ষ্য নেওয়া হতে পারে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় আর দুই-একজনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা এ মামলায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এ ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি আশা করছেন, মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর আর দুই-একজন সাক্ষ্য প্রদান করার মাধ্যমে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হবে। সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হলে বিচারের যে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়ায় বিচারটি সমাপ্তির দিকে ধাবিত হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, তাঁরা মনে করেন, এ মামলা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট এভিডেন্স (তথ্যপ্রমাণ) এই আদালতে হাজির করতে সক্ষম হয়েছেন। সুতরাং আর সাক্ষ্য তেমন বেশি প্রয়োজন নেই। সে কারণে বাকি দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর মামলাটি সমাপ্তির জন্য প্রেয়ার (আবেদন) করা হবে। হয়তো পরে তাঁরা যুক্তিতর্কের দিকে যাব বলে আশা করছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু এখানে ডিফেন্সের (আসামিপক্ষ) পক্ষ থেকে সাক্ষী দেওয়ার ব্যাপার নেই, আসামি দুজন পলাতক আছেন। আর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় দোষ স্বীকার করেছেন। সে কারণে হয়তো মামলাটি যুক্তিতর্কের জন্য নির্ধারিত হতে পারে।
শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ মামলায় পলাতক আছেন। আর অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।