বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গত বছরের ৪ জুন বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ কর্মীসহ ৫১ জনের প্রাণহানি হয়
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিস্ফোরণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করে চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দুর্ঘটনার পর পর বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ বিবৃতি ও বিজ্ঞাপন দিয়ে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এখনো অন্তত ৭-৮ জন শ্রমিকের পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত না হওয়ার অজুহাতে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না।

বক্তারা আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না আহত শ্রমিকেরা। প্রশাসন ও ডিপো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস মিলছে না। আহত শ্রমিকদের অনেকের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে কানে শুনতে পান না। তাঁদের প্রায় সবাইকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এক বছর ধরে আয়-রোজগারহীন অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। তাঁদের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।  

বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ফজলুল কবিরের  সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি কর্মকর্তা পাহাড়ি ভট্টাচার্য, আইনজীবী ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

গত বছর ৪ জুন কুমিরার বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ কর্মীসহ ৫১ জনের প্রাণহানি হয়। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক আহত হন। অগ্নিনির্বাপণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় চার দিন।