ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ ১০টি পদ গ্রেড–১ এ চায় পুলিশ

পুলিশ লোগো

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ পুলিশ বাহিনীতে সচিব পদমর্যাদার ১০টি গ্রেড-১ পদ দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সপ্তাহের পঞ্চম দিনে শনিবার রাতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব দাবি তুলে ধরেন।

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে রাত ৮টার দিকে শুরু হয়ে মতবিনিময় সভা চলে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত। এতে দেশের সব মহানগর পুলিশের কমিশনার ও রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সারা দেশের পুলিশ সুপার, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক থেকে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্র জানায়, পুলিশের ১১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পুলিশের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। একজন কর্মকর্তা পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদকে চার তারকা জেনারেলের (সেনাপ্রধান) পদের সমান করার প্রস্তাব করেন। আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, আইজিপি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার, তাঁকে আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাচিবিক ক্ষমতা দেওয়া হোক। একজন কর্মকর্তা পুলিশ অধিদপ্তরকে পুলিশ সদর দপ্তর করার দাবি তোলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র পুলিশ বিভাগ করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া পুলিশে পঞ্চম গ্রেডের যেসব কর্মকর্তা আছেন, তাঁদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষমতা পুলিশ সদর দপ্তরকে দেওয়ার দাবি করা হয়। পুলিশের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি স্বতন্ত্র প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করারও দাবি জানানো হয়। ঢাকা বা ঢাকার বাইরে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের দাবি তোলেন এক কর্মকর্তা।

পুলিশে কর্মরত সাধারণ কর্মীদের (সিভিল স্টাফ) আজীবন রেশন দেওয়ার দাবি তোলেন এক কর্মকর্তা। পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর তাঁর পেনশন সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে সভায়। বর্তমানে এই বিল পাস করার এখতিয়ার রয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের হাতে। 

পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবহন সংকটের কথা তুলে ধরেন। তাঁরা পুলিশ বাহিনীতে স্বতন্ত্র মেডিকেল কোর বা মেডিকেল সার্ভিস চান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবিদাওয়া ও সমস্যাগুলো শোনেন। কিছু দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সভায় উপস্থিত সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সচিবকে নির্দেশ দেন তিনি। আর কিছু বিষয় সমাধানের আশ্বাস দেন। 

এর আগে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও স্বরাষ্ট্রসচিব আমিনুল ইসলাম পুলিশের কাজের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন।