বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানফাইল ছবি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা ও এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বিমানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনটি এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে তেজগাঁও বিমানবন্দর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) আওতায় নেই।

সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্টল বিমানবন্দর রয়েছে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, শমসেরনগর (মৌলভীবাজার), কুমিল্লা ও বগুড়ায়।

উল্লেখ্য, স্টল বিমানবন্দরগুলোর রানওয়ে ছোট হয় এবং সাধারণত ছোট আকারের বিমান ওঠানামা করতে পারে। তবে বাংলাদেশের স্টল বিমানবন্দরগুলোর বেশির ভাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

ক্যাডেট কলেজের টিউশন ফি

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বাবা-মায়ের আয়ের ওপর ভিত্তি করে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। সম্প্রতি নিম্ন ধাপের টিউশন ফি অপরিবর্তিত রেখে অন্য ধাপগুলোর ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধাপের টিউশন ফি ২৮ হাজার ৬০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।