ধানমন্ডি থানার সাবেক ওসি ইকরাম আলীর গুলশানে ছয়তলা বাড়ি, ধানমন্ডিতে নিজের একটি ও স্ত্রীর ফ্ল্যাট দুটি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইকরাম আলী মিয়া ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমার সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ধানমন্ডি থানার সাবেক ওসি ইকরাম আলীর ধানমন্ডিতেই নিজের নামে একটি এবং তাঁর স্ত্রীর নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর গুলশানে রয়েছে ছয়তলা একটি বাড়ি। এটা তাঁর স্ত্রীর নামে। কেরানীগঞ্জে রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট। সেটা তাঁর এক আত্মীয়ের নামে।
এর বাইরে গোপালগঞ্জ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, ধানমন্ডি, বাড্ডা, হাজারীবাগেও ইকরাম আলী ও তাঁর স্ত্রীর নামে জমির খোঁজ পেয়েছে দুদক। সব মিলিয়ে তাঁদের সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭২১ টাকা।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইকরাম আলীর সম্পদের বিস্তারিত তথ্য আদালতের কাছে তুলে ধরে দুদক। দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, ইকরাম আলী মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে, ইকরাম আলী ও তাঁর স্ত্রী অবৈধ পন্থায় অর্জিত এসব সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা না হলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। তাতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।