মিয়ানমার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে বাংলাদেশিদের ফেরানো হচ্ছে। এই জাহাজেই ফেরত পাঠানো হবে মিয়ানমারের ২৮৫ সীমান্তরক্ষীকেছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তে থেকে আগামীকাল বুধবার ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আজ সিত্তের কারাগার থেকে মুক্তি পান তাঁরা। ইতিমধ্যে ওই বাংলাদেশিদের নিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ২৮৫ সীমান্তরক্ষীকে মিয়ানমারের ওই জাহাজে করেই আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফেরত পাঠানো হবে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর লড়াইয়ে প্রেক্ষাপটে ওই সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইন কাল বুধবার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছাবে। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশে যে ১৭৩ জন নাগরিক ফেরত আসছেন, তাঁদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, ৭ জন রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি; নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে অধিবাসী রয়েছেন।

মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশ যাচ্ছে—এমন তথ্য জানার পর ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই জাহাজেই বাংলাদেশের লোকজনের ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গ তাদের কাছে তুলে ধরা হয়। পরে বাংলাদেশিদের দ্রুত ও সহজে ফেরতের পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাইকৃত বাংলাদেশি, যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাঁদের সিত্তে কারাগারে আনার উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি আরও ২৯ জন ‘যাচাইকৃত বাংলাদেশি, যারা কারাভোগরত কিংবা বিচারাধীন’, তাঁদেরও মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হয়। যার ভিত্তিতে সাজা মওকুফ হলে তাঁদের দেশে ফেরানোর পথ সুগম হয়।

আরও পড়ুন

গত বছরের ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানো হয়।

মিয়ানমারে রাখাইনে সংঘাত শুরুর পর কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৩৩০ জন সদস্যকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।