চট্টগ্রামে একপশলা স্বস্তির বৃষ্টি

সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা। নয়টার দিকে এল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তীব্র গরমে একটু যেন স্বস্তিও নেমে এল। আজ সকালে নগরের প্রবর্তক মোড়েজুয়েল শীল

অবশেষে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়।

বৃষ্টির ফলে জনমনে স্বস্তি নেমে আসে; যদিও বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল অল্প সময়। তীব্র তাপপ্রবাহে ধুঁকতে থাকা মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক জানান, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটা–তিনটার দিকে প্রথম একদফা সামান্য বৃষ্টি হয়। মূলত এটা কালবৈশাখীজনিত বৃষ্টি। ওই বৃষ্টির পরিমাপ ছিল ১ মিলিমিটার। এরপর আজ সকাল ৯টার পর যে বৃষ্টি হয়েছে, তার পরিমাপ পাওয়া যাবে দুপুর ১২টার পর।

বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় গন্তব্যে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। আজ সকালে নগরের প্রবর্তক মোড়ে
জুয়েল শীল

তবে আশার কথা, আজ চট্টগ্রামে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবদুল বারেক বলেন, দুপুরের পর চট্টগ্রামে আরও কালবৈশাখীজনিত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরিমাণ বাড়লে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে।

চট্টগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ।

এদিকে অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়েও নেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাসও দেন।

বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সবজিবাহী গাড়ির ছাদে বসে ছাতা মেলে ধরেছেন এক শ্রমিক।আজ সকালে নগরের প্রবর্তক মোড়ে
জুয়েল শীল

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। এরপর তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করেছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হয়। এই বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি ডেকে আনলেও তা স্থায়ী হয়নি।