প্রথম আলো–ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলায় ডাকসুর নিন্দা
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব জানায় ডাকসু।
বিবৃতিতে ডাকসু আরও জানায়, স্বাধীন গণমাধ্যম রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার অন্যতম ভিত্তি। বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক সংগ্রামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম, সাংবাদিক ও সম্পাদকদের ওপর যেভাবে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল, সেই অন্ধকার সংস্কৃতিতে বাংলাদেশ আর ফিরে যেতে পারে না। একই সঙ্গে হাইকমিশন কার্যালয় ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ডাকসু। ধর্ম অবমাননার বিচার আইন ও আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাংবাদিক, সম্পাদক ও গণমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে দৃঢ়, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক সব সহিংসতা ও স্যাবোটাজের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সব সচেতন নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ওসমান হাদির স্বপ্ন ছিল মেধা-মনন ও জ্ঞানের শক্তিতে ফ্যাসিবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, তাঁর স্বপ্নের ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে নিয়মতান্ত্রিক ও ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
ওসমান হাদিকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা এবং সন্ত্রাসী আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে থাকার আহ্বান জানানো হয় এতে।
কোনো ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যেন স্যাবোটাজ, সহিংসতা বা উসকানির মাধ্যমে ন্যায়বিচারের আন্দোলনকে কলুষিত করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকারও আহ্বান জানানো হয়।