চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পগুলোর সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের স্বার্থে খাল ও নালার ভেতর থাকা অস্থায়ী বাঁধগুলো চলতি মাসের মধ্যে অপসারণ করা হবে। আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়া খালগুলো সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সিডিএর প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন জলকপাটগুলোরও (স্লুইসগেট) রক্ষণাবেক্ষণ করবে সিটি করপোরেশন।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পগুলোর সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিডিএর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সিডিএর চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ।

এ ছাড়া চার প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত  প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন। রুদ্ধদ্বার ওই সভায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের সুযোগ ছিল না। তবে সভায় অংশ নেওয়া দুজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সামনের বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে এবং চলমান চার প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি কী হয়েছে, তা যাচাই করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা খাল ও নালায় কাজ করার বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, খাল ও নালাগুলো পরিষ্কার করা হলেও তা অল্পদিনের মধ্যে ভরাট হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে এবং পাহাড়ি বালুতে তা দ্রুত ভরাট হয়।

সভায় অংশ নেওয়া সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে খালগুলোর ভেতরে থাকা অস্থায়ী বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে বৃষ্টির সময় পানি দ্রুত নামতে পারে। আর যেসব খালের কাজ শেষ হয়েছে তা সিটি করপোরেশন বুঝে নেবে। তবে এক বছর সিডিএ রক্ষণাবেক্ষণ করবে।

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে সিডিএ দুটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি ও সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। ৫ থেকে ৯ বছর আগে এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু একটি প্রকল্পের কাজও শেষ হয়নি।