শরীরে এখনো ব্যথা শরীফের

শরীফ হোসেন

শরীফ হোসেনের শরীরে এখনো স্প্লিন্টার আছে, হাত-পা ফোলা, ব্যথা করে। তাই নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। এক কানে শোনেন না, তাই যন্ত্র লাগানো থাকে।

শরীফ হোসেন ১৮ বছর আগে ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন। এখনো তিনি সেই দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় নিজের দোকানের সামনে বসে সেই বিভীষিকাময় দিন এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন শরীফ। তিনি বর্তমানে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

আরও পড়ুন

শরীফ বলেন, সেদিন তিনি শেখ হাসিনার গাড়ির কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রথমে বাঁ পায়ে এবং একটু পরে ডান পায়ে আঘাত পান। এরপর তিনি মাটিতে পড়ে যান।

এক ব্যক্তি তাঁকে ধরে পাশেই একটি কাপড়ের দোকানে নিয়ে যান। এরপর এক ব্যক্তিকে অনুরোধ করে টিকাটুলী এলাকার একটি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে পাঠানো হয় পঙ্গু হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে ১ মাস ১০ দিন ছিলেন। কিন্তু ভালো চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না। পরে সেখান থেকে আ ফ ম রুহুল হকের (সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী) কাছে চিকিৎসা নেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে নানা সহযোগিতা পাওয়ার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে শরীফ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আপা (শেখ হাসিনা) মিরপুরের ১৩ নম্বরে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

২০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিয়েছেন। সেখান থেকে লভ্যাংশ পাই। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে মাসে পাঁচ হাজার টাকা পাই।’

শরীফ জানালেন, তবে কিডনির জটিলতায় বেশ সমস্যায় আছেন। এ নিয়ে চিকিৎসা খরচ বেড়েছে। গত সপ্তাহে কিডনির অস্ত্রোপচার হয়েছে।

শরীফ চান, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িত যেসব অপরাধীর এখনো বিচার হয়নি, তাঁদের যেন বিচার হয়।