গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে

প্রতীকী ছবি

গৃহশ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। এর পাশাপাশি গৃহশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির কোনো বিকল্প নেই।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে রাজধানীর তোপখানায় হোটেল রয়েল প্যালেসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার। সংগঠনের সভাপতি মমতাজ বেগম, প্রতিষ্ঠাতা আবুল হোসাইন, উপদেষ্টা মোস্তফা আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেত্রী আমেনা বেগম, মিনারা বেগম, কাজী রেনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মুর্শিদা আখতার তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা বলয় বৃদ্ধি করা হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মধ্যে গৃহশ্রমিকেরা অন্তর্ভুক্ত হবেন না। কেননা, এ কর্মসূচিতে মূলত গ্রামীণ দরিদ্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আর গৃহশ্রমিকেরা কাজ করেন শহরে। তাই বাজেটে গৃহশ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গৃহশ্রমিকদের নিবন্ধন ও নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে তাঁদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত গৃহশ্রমিকেরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬–এর আওতার বাইরে রয়ে গেছেন। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে গৃহশ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালুরও দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গৃহশ্রমিকদের শ্রমের রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। এই শ্রমশক্তির ৯৫ শতাংশই হচ্ছে নারী ও শিশু। সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থকলেও বেসরকারিভাবে ৫০ লাখ নারী ও শিশু এই খাতে কর্মরত। গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় সরকার ২০১৫ সালে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করলেও তার বাস্তবায়ন নেই। ২০১১ সালে আইএলও ‘গৃহশ্রমিকের জন্য শোভন কাজ’ শীর্ষক সনদ-১৮৯ গ্রহণ করলেও সরকার তা অনুসমর্থন করেনি। সুরক্ষার অভাবে গৃহশ্রমিকেরা হত্যার শিকার হচ্ছেন। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।