মৃত্যুবার্ষিকীতে সালমান শাহর বাড়িতে ভক্তরা, সড়কের নামকরণ দাবি
বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁর ভক্তরা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় সালমান শাহর বাড়ির সামনে মিলিত হন তাঁরা। এরপর বিকেলে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় সালমানের ভক্তরা মানববন্ধন করেন। সেখান থেকে সালমানের নামে সিলেটে একটি চত্বরের নামকরণ ও তাঁর মৃত্যুর ঘটনার আবার তদন্তের দাবি জানান ভক্তরা।
নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় সালমান শাহ ভবনে আজ বেলা তিনটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রয়াত এ নায়কের ভক্তরা ভিড় করে আছেন। সালমান শাহর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস ছুঁয়ে দেখছিলেন তাঁরা। এ সময় সালমানের মামা আলমগীর কুমকুমের হাতে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আনা ক্রেস্ট ও সালমান শাহর নামে গাজীপুরে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ট্রফি তুলে দেন ভক্তরা।
আলমগীর কুমকুম সাংবাদিকদের বলেন, সালমান শাহ ভবনে তাঁর ভাগনের ব্যবহৃত ক্যাপ, হ্যাটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম এখনো আগের মতোই সাজানো আছে। কিন্তু সালমান নেই। সালমানকে স্মরণে রাখতে তাঁদের বাসার পাশের সড়কটি তাঁর নামে করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে সালমান শাহ ভবন থেকে মিছিল নিয়ে ভক্তরা চৌহাট্টা এলাকায় মিলিত হয়ে মানববন্ধন করেন। এতে মহানায়ক সালমান শাহ সিলেট ফ্যান ক্লাব, মহানায়ক সালমান শাহ ভক্ত ঐক্যজোট গাজীপুর, সালমান শাহ ভক্ত ঐক্যজোট ঢাকা, সালমান শাহ ভক্ত ঐক্যজোট কিশোরগঞ্জ ইত্যাদি ব্যানার নিয়ে ভক্তরা অংশ নেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভক্তরা সালমান শাহর মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডÐদাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। এ ছাড়া সিলেটে সালমান শাহর নামে একটি চত্বর স্থাপনের দাবি জানান তাঁরা।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সিলেটের ভক্তদের মধ্যে জিসান আহমদ, গাজীপুর থেকে আসা ডি এম মাসুদ, ঢাকার বাসিন্দা সালমান সিজান, কিশোরগঞ্জের আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম থেকে আসা ভক্ত তারমিন আক্তার প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে হজরত শাহজালাল (র.) দরগাহ কবরস্থানে সালমান শাহর কবর জিয়ারত করেন তাঁরা। পরে দরগাহ মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দরিয়াপাড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তাঁর বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান ছিলেন বড়। সালমান শাহর পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তিনি দর্শকদের উপহার দেন ব্যবসাসফল ২৭টি ছবি।