১২ আসামি খালাস, তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করলেন আদালত

চট্টগ্রাম আদালত ভবনফাইল ছবি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার আলোচিত প্রবাসী ইউসুফ আলী হত্যা মামলার ১২ আসামির সবাই খালাস পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এই রায় দেন।

খালাস পাওয়া ১২ আসামি হলেন আজগর আলী, মো. টিপু, মো. মামুন, আলী আকবর, মাহবুবুল আলম, সাগর খান, মো. মোমিন, মো. আলমগীর, আয়ুব আলী, মোহসিনুল হক, আবুল তালেব, আবু বক্কর ও নেজাম উদ্দিন।

ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি অশোক কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা রাঙ্গুনিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলামকে দায়ী করেছেন। এই ধরনের কর্মকর্তা পুলিশ বিভাগের কলঙ্ক উল্লেখ করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নির্দেশ দেন আদালত।

অশোক কুমার দাশ আরও বলেন, আদালত পুলিশের আলামত জব্দ ও তদন্তের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি উল্লেখ করে সবাইকে খালাস দিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা সবাই নিহত ব্যক্তির পরিবারের। কিছু প্রত্যক্ষদর্শী থাকলেও তাঁরা সাক্ষী হননি ভয়ে। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এম আবু তৈয়ব তালুকদার সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আজগর আলী ও তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে তৈয়বের বিরোধ তৈরি হয়। পরের বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তৈয়বের বড় ভাই  ইউসুফ আলী বিদেশে থেকে ফিরলে তাঁকে রাস্তায় প্রকাশ্যে কোপানো হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ দিন পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ইউসুফের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার বাদী হয়ে আজগর আলীসহ ১২ জনের নামে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে সেই ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন রাঙ্গুনিয়া থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার পর আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ও মামলার বাদী শাহিনুর আক্তার । তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বামী হত্যার বিচার পেলাম না।