শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির জামিন স্থগিত করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

শিশু ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লায় চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলার আসামি মেহেরাজ হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটির বিচার শেষ করতে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই মামলায় গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ মেহেরাজ হোসেনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। পরে জামিনে মুক্তি পান এই আসামি। এ অবস্থায় জামিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন শুনানিতে ছিলেন।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, চার বছর বয়সী শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মেহেরাজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এই মামলায় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অভিযোগপত্র ও পরে সম্পূরক অভিযোগ দাখিল করা হয়। চলতি বছরের ৭ জুন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এ সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। জামিনের পর আসামি ২৪ আগস্ট মুক্তি পান। এরপর আসামি শিশুটির মাকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখান। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনটি করে। শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত ওই আদেশ দিয়েছেন।

মামলার নথির তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চার বয়সী ওই শিশু নিখোঁজ হয়। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় ও গলা টিপে হত্যার পর একটি কক্ষে সিমেন্টের বস্তার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় শিশুটির দাদা বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি।