মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন করলেন ছাত্রলীগ নেতা

উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলা থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলামের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলা থেকে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলামের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনটি হয়। শফিকুল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক।

মানববন্ধনে পদার্থবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আদনান উদ্দিন হায়দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন একই বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির আবদুল আলিম, শাহরিয়ার সৌমিক, আসামি ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ও শাকিল আলম প্রমুখ।

জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলায় নামগুলো কেন আর কীভাবে দিয়েছে, সেটি আমরা জানতে চাই। কোনো তদন্ত ছাড়া পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের নাম দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমনটি করা হয়েছে। প্রশাসনকে এসবের ব্যাখ্যা দিতে হবে৷’

শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার ও উপাচার্য শিরীণ আখতারকে উদ্দেশ করে বলেন, প্রশাসন বিভিন্ন সময় মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে ভুল হয়েছে স্বীকার করলেও লিখিত কোনো জবাব দেয়নি। কোন প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি করা হয়েছে, এটার লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে। তাহলেই কে জড়িত ছিল আর ছিল না, বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এমনটি না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলনে যাবে ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন

৭ সেপ্টেম্বর রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৬ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেদিন রাত ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবন, ৬৫টি যানবাহন, শিক্ষক ক্লাব এবং পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ১২ জনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে হাটহাজারী থানায় দুটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর ১২ সেপ্টেম্বর মামলা থেকে নেতা-কর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের অনুসারীরা। গত বৃহস্পতিবার ছয় আসামিকে সঙ্গে নিয়ে প্রক্টর নূরুল আজিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইকবাল হোসেন। তিনি মামলা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আরও পড়ুন