তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে অব্যাহতি

আইন মন্ত্রণালয়

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. জাকির হোসেন, কাজী বশির আহমেদ ও শ্যামা আক্তার।

আজ সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

কী কারণে তাঁদের নিয়োগের আদেশ বাতিল করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি ওই বিজ্ঞপ্তিতে। তবে সূত্রগুলো বলছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে মারামারি, এক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিটিকে বাধ্য করা এবং মামলার প্রেক্ষাপটে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় করা মামলায় অব্যাহতি দেওয়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের প্রত্যেকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এবারের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয় ৬ ও ৭ মার্চ। ভোট গণনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বেশ কয়েকজন বহিরাগত ব্যক্তিও সমিতি মিলনায়তনে ঢুকে পড়েন। মারধরের শিকার হন নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।

পরে এই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন আহত সাইফুর রহমান সিদ্দিকী। মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে দুই সম্পাদক পদপ্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। নাহিদ সুলতানা যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী। আর রুহুল কুদ্দুস বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেল থেকে সম্পাদক পদপ্রার্থী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৮ মার্চ ভোরে মারধরের ঘটনার সময় সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির প্রধানকে বাধ্য করা হয়। মারামারির ঘটনায় করা এই মামলায় যুবলীগের তিনজন পদধারী নেতাকেও আসামি করা হয়।

অবশ্য পরে ভোট গণনা শেষে গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তাতে সভাপতি পদে বিএনপির এ এম মাহবুব উদ্দিন (খোকন) এবং সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের শাহ মঞ্জুরুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। সমিতির ১৪টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০টি, বিএনপি পেয়েছে ৪টি।

মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গত শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুসকে। তাঁকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন। একই মামলায় এর আগে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।