সিলেট ও রাজশাহী দুই সিটিতেই এগিয়ে নৌকার প্রার্থীরা

ভোটারদের দীর্ঘ সারি। হাজী আবদুস সাত্তার উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র, টুকেরবাজার, সিলেট, বেলা সাড়ে ১১টা, ২১ জুন
ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোটে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী এগিয়ে আছেন। সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আর রাজশাহীতে দলটির প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন।

আজ বুধবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। দুই সিটিতেই ভোট গ্রহণ হয় ইভিএমে।

সিলেটে মোট কেন্দ্র ১৯০টি। এর মধ্যে ২৪টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬১৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪ ভোট।

রাজশাহী সিটিতে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৫টি। এখানে ১২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন পেয়েছেন ১১ হাজার ২৮৪ ভোট । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার সো. মুরশিদ আলম পেয়েছেন ৮৭৩ ভোট।

নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন, মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। আর বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন দলের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এর মধ্যে নতুন ভোটারসংখ্যা ৩০ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। হিজড়া ভোটার ৬ জন।

এই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।