‘স্বপ্ন দেখতে হবে আকাশ ছোঁয়ার’

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সামার স্কুল অনুষ্ঠানে অতিথিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে, চট্টগ্রাম
ছবি: জুয়েল শীল

সাদিয়া আক্তার বরিশালের ছয়গ্রাম মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। আগে কখনো সে মা–বাবাকে ছেড়ে ঘরের বাইরে থাকেনি। কিন্তু এক মাস ধরে সে আছে চট্টগ্রামে। ঘুরেছে বন্দরনগরের মনোরম পর্যটন এলাকাগুলোয়। সে মূলত এসেছিল এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সামার স্কুলে। এক মাসে বিজ্ঞান ও গণিতের নানা খুঁটিনাটি শিখেছে সাদিয়া।

বৃহস্পতিবার সামার স্কুলের সমাপনী আয়োজনে সাদিয়ার সঙ্গে কথা হয়। উচ্ছ্বাস নিয়ে প্রথম আলোকে সে বলে, দারুণ এক সময় কাটিয়েছে। বইয়ের বাইরে গিয়ে গণিত ও বিজ্ঞানের ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে জেনেছে। এমন অভিজ্ঞতা তার পড়াশোনার গতি আরও বাড়িয়ে দেবে।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সামার স্কুল অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে, চট্টগ্রাম
ছবি: জুয়েল শীল

শুধু সাদিয়া নয়, তার মতো আরও ৭০ শিক্ষার্থী এসেছিল ‘এইউ ডব্লিউ সামার স্কুল-২০২২’ শীর্ষক আয়োজনে। এ আয়োজন শুরু হয় গত ১৭ জুলাই। শেষ হয় বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে ছিল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওরাকল করপোরেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপাল) রুবাবা দৌলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরনের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক মো. ইমরুল কবির ও মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক নাফিসা হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ডিন বিনা খুরানা, অফিস ফর অ্যাডভান্স লার্নিংয়ের পরিচালক ও সামার স্কুলের আয়োজক ম্যারি চ্যান্ডি।

অনুষ্ঠানে রুবাবা দৌলা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। যাঁরা প্রযুক্তিজগতে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারছেন, তাঁরা এ যুগে এগিয়ে যাবেন। কোনো কিছুই বাধা হয়ে সামনে দাঁড়াতে পারবে না। আর নারীদের এগিয়ে যেতেই হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে আকাশ ছোঁয়ার।

আয়োজকেরা জানান, ৪ সপ্তাহব্যাপী সামার স্কুলে ১৩ জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শেভরন ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের যৌথ উদ্যোগে স্কুলের আয়োজন করা হয়। গণিত ও বিজ্ঞান, মানবিক, কম্পিউটার কোডিং—এ তিন ভাগে শিক্ষার্থীরা হাতে–কলমে এসব বিষয়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ধারণা নেয়। দেশ-বিদেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা পাঠদান করেন। পরে সমাপনী আয়োজনে ছয় শিক্ষার্থীকে ইয়ং উইমেন বৃত্তি দেওয়া হয়।