দেশের সেরা ৫৬টি ব্র্যান্ড পেল স্বীকৃতি

৪০টি বিভাগে সেরা ব্র্যান্ড এবং সামগ্রিক শীর্ষ ১৫টি ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়ছবি: সংগৃহীত

দেশে পরিচালিত সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কৃত করতে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজন করেছে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’। গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জমকালো গ্র্যান্ড গালা অনুষ্ঠিত হয়। এনসার্চ লিমিটেডের অংশীদারত্বে এবারের আয়োজনের সহযোগী ছিল দ্য ডেইলি স্টার।

এবারের ১৫তম আসরে ৪০টি বিভাগে সেরা ব্র্যান্ড এবং সামগ্রিক শীর্ষ ১৫টি ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া নাম ঘোষণা করা হয় ২য় এবং ৩য় সেরা প্রিয় ৭৪টি ব্র্যান্ডের। পাশাপাশি ‘মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মাননাসহ মোট ১৩০টি সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বেস্ট ব্র্যান্ডের পুরস্কার গ্রহণ করছেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর
ছবি: সংগৃহীত

সামগ্রিক বিবেচনায় দেশের সেরা ১৫টি ব্র্যান্ডের মধ্যে এ বছর বেস্ট ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পায় মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’। রাঁধুনি এবং আরএফএল হাউসওয়্যার যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করে। এই তালিকায় থাকা অন্যান্য ব্র্যান্ড হচ্ছে গ্রামীণফোন, ইস্পাহানি মির্জাপুর, স্বপ্ন, দারাজ, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড, সানসিল্ক, ক্লোজআপ, কোকাকোলা, ম্যাগি, এসিআই পিওর সল্ট, লাক্স ও স্যামসাং মোবাইল।

ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ইনডেক্সের ভিত্তিতে গত তিন বছর ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে ঊর্ধ্বগামী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করায় নগদকে ‘মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই ১৫টি ব্র্যান্ড ছাড়াও অন্য ২৫টি সেরা ব্র্যান্ড হলো ফ্রেশ আটা-ময়দা-সুজি, সুপার ফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার, ফ্রেশ রিফাইন্ড সুগার, স্পিড, শাহ্ সিমেন্ট, আকিজ সিরামিক্স, নেসক্যাফে, রূপচাঁদা সয়াবিন তেল, সেনোরা স্যানিটারি ন্যাপকিন, বসুন্ধরা টিস্যু, হারপিক, ওয়ালটন টিভি, রিন, কাজী ফার্মস কিচেন, ডানো মিল্ক, হরলিক্স, ইগলু আইসক্রিম, প্রাণ ফ্রুটো জুস, লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস, ওরস্যালাইন-এন, বার্জার পেইন্ট, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, এপেক্স ও বিএসআরএম।

ব্র্যান্ড ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, এ আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো দেশে পরিচালিত ব্র্যান্ডগুলোর সফলতাকে সম্মাননার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা। এ বছরের সেরা ব্র্যান্ড বাছাই করতে এনসার্চ লিমিটেড একটি জরিপ পরিচালনা করে। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামাঞ্চলে ১০ হাজার নারী ও পুরুষ ভোক্তার ওপর জরিপটি পরিচালিত হয়।  

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোক্তাদের জীবনে ব্র্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ব্র্যান্ডের উন্নতি তার ব্যবসার পাশাপাশি দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয়। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে সেসব ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি জানাই, যারা কেবল তাদের ব্যবসায় নয় বরং সমগ্র জাতি এবং অর্থনীতির বৃদ্ধিতেও ব্যাপক অবদান রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি, এই স্বীকৃতি বাংলাদেশে সক্রিয় সব ব্র্যান্ডকে আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে পরিচালিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করার উদ্দেশে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের হাত ধরে শুরু হয় ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে’র যাত্রা।