অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
ছবি: প্রথম আলো

ট্রেন থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুলে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার। দিনাজপুরে একটি স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তিনি আজ রোববার ঢাকায় ফিরছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আনু মুহাম্মদ। তাঁর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুল মারাত্মকভাবে থেঁতলে গেছে। এতে আঙুলের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁর আঙুলে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান বিধান সরকার প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুলের চামড়া কেটে ফেলা হয়েছে। এতে আঙুলের হাড় বের হয়ে গেছে। তবে আঙুল কাটা হয়নি।

আরও পড়ুন

দুর্ঘটনার বিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বন্ধু নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন আনু মুহাম্মদ। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পৌঁছানোর পর ট্রেন থেকে নামছিলেন তিনি। হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যান। এতে তাঁর দুই পা ট্রেনের চাকার নিচে চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোশহিতা সুলতানা বলেন, একটি স্মরণসভায় যোগ দিতে গত শুক্রবার দিনাজপুরে যান অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

গতকাল শনিবার ছিল ওই সভা। সভা শেষ করে আজ ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর শুনে তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা হাসপাতালে ভিড় করেন।
এক বিবৃতিতে এ দুর্ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।