৯ বছর আগে পুলিশ সদস্য খুনের মামলায় ৩ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন
পুলিশের এক সদস্যকে ৯ বছর আগে ছুরিকাঘাত করে খুনের মামলায় তিন ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঞা এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জসিম উদ্দিন, মাবুদ দুলাল ও অর্জুন দে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত রায়ে ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আসামি ও সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনার পর তিনি অন্য আসামিদের অটোরিকশায় তুলে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন।
২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন অক্সিজেন এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডবি কলোনি এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তাঁর পথ আটকে ছিনতাইকারীরা মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
ওমর ফুয়াদ আরও বলেন, সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে মাবুদ দুলাল রায় ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন। অপর তিনজন পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন অক্সিজেন এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডবি কলোনি এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তাঁর পথ আটকে ছিনতাইকারীরা মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানা–পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পরে অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত চারজনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. নাছির ও মো. রাজিব নামের দুই আসামি মামলা তদন্তকালে মারা যান। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল চার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।