পঞ্চগড়ে ধর্মকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ন্যক্কারজনক: মানবাধিকার কমিশন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

পঞ্চগড়ে ধর্মকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই ঘটনার দুই দিন পর আজ গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে কমিশন এ মন্তব্য করেছে।

পঞ্চগড়ে গত শুক্রবার আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে এক তরুণ ও বিক্ষোভকারীদের আঘাতে অপর এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।  

আজ কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। সব ধর্মের অনুসারীরা নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে  প্রতিপালন করবে, কমিশন এটাই প্রত্যাশা করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা না হলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

এ ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতেও পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে বলে কমিশনের বিবৃতিতে জানানো হয়। ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত এমন যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আরও সতর্ক থাকার ও মানুষের জানমালের সুরক্ষা দিতে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার জন্য পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপারকে পরামর্শ দেওয়া হয়।

বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা জীবনের অধিকারের প্রতি হুমকি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এবং রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের কাছের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে আজ কমিশন বলেছে, বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা জীবনের অধিকারের প্রতি হুমকি।

কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে একই ধরনের বিস্ফোরণে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়। একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি মানুষের জীবনের অধিকারের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, এসব ঘটনায় কোম্পানিগুলোর যেমন দায় রয়েছে, একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠাগুলোও এর দায়ভার এড়াতে পারে না। বারবার একই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা একটি কমিটি গঠন করে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া গেলে এ ধরনের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করা সম্ভব হবে।