এর চেয়ে লিডিং জবানবন্দি দেখিনি: আইনজীবী আমিনুল গণী

আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। মডার্ন মোড়, রংপুর, ১৮ জুলাইফাইল ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দি যেভাবে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো। তিনি বলেছেন, ‘এর চেয়ে লিডিং জবানবন্দি আমি দেখিনি।’

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো এ কথা বলেন।

‘লিডিং জবানবন্দি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন, জানতে চাইলে আমিনুল গণী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বলে বলে যে জবানবন্দিটা দেয়াইছে...প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে। এভাবে কোনো জবানবন্দি হয় না অ্যাকচুয়ালি। মানে ওভাবে বললে যে কেউ কোনো অ্যানসার করতে পারে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় আবু সাঈদকে হত্যায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে আজ জবানবন্দি দেন তাঁর বাবা মকবুল হোসেন। জবানবন্দির পর তাঁকে জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ মামলার আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের আইনজীবী আমিনুল গণী। তিনি মকবুল হোসেনকে জেরা করে বলেন, আবু সাঈদ হত্যার পর আপনার ছেলে রমজান আলী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেছেন।

তখন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, মকবুল হোসেন এ কমপ্লেন (মামলা) করেননি। আইন অনুযায়ী আপনি তাঁকে এই জেরা করতে পারেন কি না?

জবাবে আমিনুল গণী বলেন, তাঁর ছেলে মামলা করেছেন, এটা উনি জানেন কি না, এটা তাঁর প্রশ্ন।

সে সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে বলা আছে, কোনো কন্ট্রাডিকশন নেওয়া যাবে না। একপর্যায়ে জেরা ডিক্লাইন (জেরা না করা) করেন আমিনুল গণী।

এরপর বেলা একটার দিকে বিরতিতে যান ট্রাইব্যুনাল। বেলা তিনটায় আবার শুনানি শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে শেষ হয়।