অপসংস্কৃতির গ্রাস থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করুন: প্রধান বিচারপতি
মহান মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিকদের দেখানো পথ ধরে তরুণ প্রজন্ম আগামী দিনগুলোতে সুস্থ বাঙালি সংস্কৃতির সোনার বাংলা গড়ে তুলে বিশ্বদরবারে বাঙালি সংস্কৃতির মর্যাদা বৃদ্ধি করবে—এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, ‘তবেই আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের আত্মত্যাগ সফল হবে।’
জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আজ রোববার সকালে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের সংবর্ধনা–২০২৩’ শীর্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমরা একটি সাংস্কৃতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন। তাই তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের প্রতি আহ্বান থাকবে—মহান মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিকগণ শিল্পের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সকল প্রকার আগ্রাসন, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করে অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস হতে দেশকে মুক্ত রাখতে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান হতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করুন।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার আসমা ফেরদৌসি।
আয়োজকেরা জানান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, কলাকুশলীসহ জীবিত ৮৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে উপস্থিত ৫৪ জন শব্দসৈনিককে আজ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট, চেক ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা।