বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার অধিকতর তদন্তে অগ্রগতি নেই
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। সাত মাস আগে আদালত মামলাটির পুনর্তদন্তের আদেশ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই।
পুনর্তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য না পাওয়ায় তদন্ত কার্যক্রম এগোয়নি। সাক্ষী যাঁরা আছেন, তাঁদের পাচ্ছি না।’
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে গাড়িতে ওঠার সময় তাঁর গাড়িতে হামলা হয়।
হামলাকারীরা গাড়িবহরের দিকে এগোনোর সময় তাদের বাধা দেওয়া হলে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুই সদস্যকে ঘুষি মারে হামলাকারীরা। গাড়িবহর চলে যাওয়ার সময় দুটি গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত হানে তারা।
ওই হামলার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন বদিউল আলম মজুমদার। পুলিশ ওই মামলায় ৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত ২০২২ সালের ১ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ওই মামলায় ছয়জন সাক্ষ্য দেন। তাঁদের তিনজন হামলায় ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা বলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।
মামলাটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সর্বশেষ ধার্য তারিখ ছিল গত ৯ জুলাই। প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় আদালত পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন ৬ আগস্ট।
পাঁচ বছরেও এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে না পারায় হতাশা ব্যক্ত করেন মামলার বাদী সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ বছর হয়ে গেল, কিন্তু তদন্তের কিছুই এগোল না।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘অবশ্যই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
মার্শা বার্নিকাট ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।