তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর পদত্যাগ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম

সরকারের মন্ত্রিসভার তিনজন টেকনোক্র্যাট ( সংসদ সদস্য নন এমন) মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সংসদ সদস্য নন প্রধানমন্ত্রীর এমন উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগ করা মন্ত্রীরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তাঁদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি হননি।

বিষয়টি নিয়ে মোস্তাফা জব্বারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

অবশ্য মন্ত্রিপরিষদের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন।

আর প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। মন্ত্রিপরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে যাঁরা সংসদ সদস্য নন, তাঁদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।’

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। তবে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগেও টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

২০১৮ সালে পদত্যাগ করা মন্ত্রীরা হলেন তৎকালীন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান (সম্প্রতি মারা গেছেন), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

২০১৮ সালে ৬ নভেম্বর টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। সেটা ছিল তফসিলের আগে। ওই বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ৮ নভেম্বর।

নির্বাচন কমিশন এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ১৫ নভেম্বর। ৪ দিনের মাথায় ১৯ নভেম্বর টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের খবর পাওয়া গেল।  

প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ উপমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৪৮ জন। তিনজনের পদত্যাগের ফলে সংখ্যাটি কমে ৪৫-এ দাঁড়াল।