বরকতউল্লার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ৫

বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। শনিবার রাত ৯ টায় চৌমুহনীর পাবলিক হল এলাকায়।
ছবি: প্রথম আলো।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলুর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বের করা বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বড় পোল এলাকায় এ  ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নেতা বরকতউল্লার ওপর কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার বাজারে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একদল নেতা-কর্মী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি চৌমুহনী গণমিলনায়তনের সামনে থেকে বের হয়ে ফেনী-চৌমুহনী মহাসড়ক অতিক্রম করে চৌমুহনী বড় পোল এলাকায় পৌঁছালে একদল পুলিশ পেছন থেকে লাঠিপেটা করে নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মফিজুর রহমান ওরফে দিপুসহ (৫৫) কমপক্ষে পাঁচ নেতা–কর্মী আহত হন। আহত অপর চারজন হলেন যুবদল নেতা দাউদের রহমান ওরফে ফারহান (২৪), টি আই সুজন (২৫), আশরাফুল হক ওরফে নদী (২৫) ও আবদুল্লাহ আল-রাকিব (২৪)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাঠিপেটার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুবদল ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে আটক করে। তাঁরা হলেন মো. সজীব (৩৮),  মোর্শেদ আলম (৩৮) ও মো. শিমুল (২৬)।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস বিএনপির প্রতিবাদ মিছিলে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লার ওপর কুমিল্লায় অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। বিএনপির কর্মীরা সে হামলার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা কারণে বিএনপির মিছিলে বেধড়ক লাঠিপেটা করে এবং তিন নেতা–কর্মীকে আটক করে। এ সময় পুলিশের হামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন কামাখ্যা চন্দ্র দাস।

জানতে চাইলে বিএনপির মিছিলে লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক বলেন, বিএনপির কর্মীরা রাতে আকস্মিকভাবে একটি জঙ্গি মিছিল বের করেছিল। মিছিলটি থেকে শহরে নাশকতার আশঙ্কা থাকায় পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এ সময় লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন নেতা–কর্মীকে আটক করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।