ঢাবির তিন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

নিজেদের সংগঠনের এক নেতাকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নেতা। তবে অভিযুক্তদের নেতা দাবি করেছেন, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ মিথ্যা। একটি এলাকাভিত্তিক সংগঠনের কমিটি নিয়ে দুটি পক্ষের টানাপোড়েনের কারণে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম এস এম জানে আলম ওরফে জনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্কুলছাত্রবিষয়ক উপসম্পাদক ও বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁর অভিযোগ, নূর উদ্দিন আহম্মেদ, ফজলে রাব্বি ও মুনতাছির শুভ নামে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের তিন ছাত্র তাঁকে মারধর করে টাকাসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়েছেন। অভিযুক্ত তিনজন জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।

জানে আলম ও অভিযুক্ত নূর উদ্দিন দুজনেরই গ্রামের বাড়ি সিলেটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির দুটি পৃথক অংশের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন তাঁরা।

মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা অভিযোগে এস এম জানে আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে টিএসসি থেকে বিজয় একাত্তর হলে যাওয়ার সময় মল চত্বরে পৌঁছালে নূর উদ্দিন আহম্মেদ, ফজলে রাব্বি ও মুনতাছির শুভ পেছন থেকে তাঁকে দাঁড়াতে বলেন। একপর্যায়ে নূর উদ্দিন তাঁর পাঞ্জাবির কলার চেপে ধরেন আর ফজলে রাব্বি হাত চেপে ধরেন। মুনতাছির তাঁর পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে নেন। মানিব্যাগে ৪ হাজার ৭০০ টাকা, হলের পরিচয়পত্র ও ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড ছিল। টানাহেঁচড়ার একপর্যায়ে তিনি বাধা দিতে চাইলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে। কৌশলে হলের বন্ধুদের ফোন করার চেষ্টা করলে তাঁরা তাঁর দুটি মুঠোফোনের ডিসপ্লে ভেঙে ফেলেন। পরে তাঁর হলের বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের চিনতে পারলে তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।

নূর উদ্দিন, ফজলে রাব্বি ও মুনতাছির শুভ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী। মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে রুবেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির কমিটি নিয়ে তাঁদের (জানে আলম ও নূর উদ্দিন) মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। একই সংগঠনের নামে কয়েকটি কমিটি আছে। জানে আলম ও নূর উদ্দিন দুজন সংগঠনের দুই অংশের সাধারণ সম্পাদক। কমিটি নিয়ে তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিগত টানাপোড়েন ও ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ থেকে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে। আমি ইতিমধ্যে নূরসহ তিনজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছে, জানে আলমের সঙ্গে জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির কমিটি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে, অন্য অভিযোগের (ছিনতাই-মারধর) কোনো ভিত্তি নেই।’

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ আজ শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘থানার একজন উপপরিদর্শককে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।