নির্বাচনী প্রচারে বাধা পেয়েছি বারবার: হেমা চাকমা

হেমা চাকমাছবি: সংগৃহীত

ডাকসু নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বামপন্থী সাতটি সংগঠনের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’–এর প্রার্থী হেমা চাকমা। তিনি এই প্যানেল থেকে ডাকসুতে জয়ী একমাত্র প্রার্থী। হেমা বলেন, নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। সেটা যেমন প্রকাশ্যে হয়েছে, আবার সাইবার বুলিংয়েরও শিকার হয়েছেন।

হেমা বলেন, ‘নির্বাচনে জিতব বলে ভাবিনি। মুক্তিযুদ্ধে চাকমাদের অবদান নেই এমন স্টেটমেন্টের সমালোচনা বা প্রতিবাদ করতে গিয়ে পরবর্তী সময়ে আমার বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু হয়। শিবিরের প্যানেলের এক প্রার্থী পাহাড়িদের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালিয়েছিলেন। এর সমালোচনা করে আমি সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। তারপরই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়। প্রকাশ্যে আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়, আর সাইবার জগতে প্রতিনিয়ত বুলিংয়ের শিকার হয়েছি।’

আজ বুধবার দুপুরের দিকে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হেমার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ হল ও মেয়েদের হলের ভোট বেশি পাওয়ায় আমি জিতেছি। বিশেষ করে জগন্নাথ হলের ভোটই আমাকে জিতিয়ে দিয়েছে।’

হেমার প্রাপ্য ভোট ৪ হাজার ৯০৮। এর মধ্যে জগন্নাথ হলে পেয়েছেন ১ হাজার ১২৫, রোকেয়া হলে ৭০০, সুফিয়া কামাল হলে ৫১৪ ও শামসুন্নাহার হলে ৬২৫। হেমা শামসুন্নাহার হলে থাকেন।

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হেমা চাকমা বলেন, ‘অনেক অভিযোগ শুনেছি। আগে থেকে ব্যালটে চিহ্ন দেওয়া ছিল—এমন অভিযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনেক কিছু জেনেও কিছু করেনি, এমন চিত্রও দেখেছি।’

পাহাড়ের মেয়ে হেমা চাকমা। তাঁর বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায়।