মহেশখালীতে জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াল সামিট

সামিট এলএনজি টার্মিনাল (এসএলএনজি) মহেশখালীতে জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের (ওয়াইপিএসএ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অবকাঠামো কোম্পানি সামিট মহেশখালীতে স্থানীয়দের জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পের (এলইপি) মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের (ওয়াইপিএসএ) সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে। প্রথম ধাপের সাফল্যের ভিত্তিতে সামিট এলএনজি টার্মিনাল লিমিটেড (এসএলএনজি) প্রকল্পটি ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন করেছিল ওয়াইপিএসএ। এ সময় এসএলএনজি মোট ১ হাজার ৫৯১ জন উপকারভোগীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং প্রায় এক কোটি টাকার নগদ অনুদান বিতরণ করেছে। উপকারভোগীদের অধিকাংশই ঘটিভাঙ্গা, সোনাদিয়া, তাজিয়াকাটা ও নায়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং তাঁরা ছোট নৌকায় মাছ ধরেন।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে পুরুষদের নৌকা মেরামতের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে তাঁরা মাসে গড়ে ৯ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন। নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা মাছের জাল বোনা এবং সৌরশক্তিচালিত তাঁবুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরির পদ্ধতি শিখেছেন। এ ছাড়া তাঁদের মাছ ধরার সরঞ্জামও দেওয়া হয়, যা ভাড়া দিয়ে তাঁরা বাড়তি আয় করতে পারেন।

এ ছাড়া সামিট প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সোনাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি’ সংস্কার করে সেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। সংস্কার শেষে বিদ্যালয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ইউইও) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসএলএনজির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আলম, উপদেষ্টা মোহাম্মদ শামসুল আলম, সিনিয়র ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিভাগের উপব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান অভি।

অন্যদিকে ওয়াইপিএসএর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, সমাজ উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক নাসিম বানু এবং সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হায়দার।