পাহাড় ঘেঁষে থাকা যুদ্ধসমাধি ঘুরে দেখল, জানল শিক্ষার্থীরা

ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা কমনওয়েলথ যুদ্ধসমাধি ঘুরে দেখে। চট্টগ্রাম, ২৫ মেছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম নগরের ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা নাওয়াল ও ওয়াফা জাহেদ আগে কখনো কমনওয়েলথ যুদ্ধসমাধিতে আসেনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আসে এই সমাধিস্থলে। ঘুরে ঘুরে তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের সম্পর্কে নানা তথ্য জেনে নেয়।

একফাঁকে এই দুই শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলে, চট্টগ্রাম যুদ্ধসমাধির নাম তারা বেশ কয়েকবার শুনেছে। তবে কখনো আসেনি। আজ এখানে ঘুরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে নানা কিছু জেনেছে। সমাহিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

শুধু নাফিসা ও ওয়াফা নয়, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের (সিইএসসি) নবম শ্রেণির আরও ৩৮ শিক্ষার্থী আজ এই যুদ্ধসমাধি ঘুরে দেখেছে। এই যুদ্ধসমাধির অবস্থান নগরের বাদশা মিয়া চৌধুরী সড়কের গোল পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। শুরুতে শিক্ষার্থীদের সামনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস, ঘটনাপঞ্জি ও সমাহিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন কমনওয়েলথ যুদ্ধসমাধি কমিশনের আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের কান্ট্রি ম্যানেজার মোফতাহুস সাত্তার।

কমিশনের এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) চট্টগ্রাম বিভাগের ফিল্ড অফিস প্রধান মাধুরী বানার্জী। তিনিও শিক্ষার্থীদের যুদ্ধসমাধি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানান। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সিইএসসির দুই শিক্ষক জবা সেন গুপ্তা ও আবুল হাসনাত।

মোফতাহুস সাত্তার শিক্ষার্থীর উদ্দেশে বলেন, চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রিতে শায়িত আছেন বিভিন্ন দেশের ৩ নারী সৈনিকসহ সেনা ও বিমানবাহিনীর ৭৫১ জন যোদ্ধা এবং বেসামরিক ৪ জন ব্যক্তি। তাঁরা সবাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত হন। এখানে আছে অবিভক্ত ভারত ছাড়াও, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জাপানি যোদ্ধাদের সমাধি।

পরে মোফতাহুস সাত্তার প্রথম আলোকে জানান, বার্ষিক আয়োজনের অংশ হিসেবে চলতি ২০–২৮ মে পর্যন্ত যুদ্ধসমাধি সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন