মঞ্চে আফরান নিশো-মেহজাবীনকে পেয়ে বাঁধভাঙা উল্লাস

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার পর ছবি তোলেন আফরান নিশো ও মেহজাবীন। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম নগরের ফয়ে’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে
ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রাম জেলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছে নগরের ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কে। শিক্ষার্থীদের সাফল্যের আনন্দ উদ্‌যাপনে পার্কের মঞ্চে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও অভিনেতা আফরান নিশো। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছেন।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ দুই গুণী শিল্পী মঞ্চে ওঠেন। মঞ্চে তাঁদের দেখে শিক্ষার্থীরা বাঁধাভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। চারদিকে ‘নিশো’ আর ‘মেহজাবীন’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে যায়। পরে দুই শিল্পী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এসএসসি পাস করার মাধ্যমে পড়াশোনার একটা ধাপ অতিক্রম করেছ তোমরা। থেমে গেলে চলবে না। সামনে যে পরীক্ষা আসবে, সেখানেও ভালো ফল করতে হবে।’

মেহজাবীন বলেন, ‘তোমাদের জীবনে এ সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র এসএসসি পাস করেছ তোমরা। পরবর্তী সময়টা সদ্ব্যবহার করলে সফলতা আসবে। চাপ নেওয়া যাবে না।’
আজ সোমবার সকাল নয়টায় ফয়’স লেকে এ উৎসব শুরু হয়। বিভিন্ন পর্বের পর বেলা তিনটার দিকে মঞ্চে ওঠেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও আফরান নিশো। মঞ্চে তাঁদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন তোমরা ঘুরে বেড়াও। গল্প, উপন্যাস পড়ো। সিনেমা দেখো।’ আফরান নিশোও একই সুরে বলেন, জিপিএ-৫ পাওয়ায় তোমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এ ফল ধরে রাখতে হবে। বাবা-মায়ের কথা শুনতে হবে।

আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী মিলে পরে শিক্ষার্থীদের ‘বুক চিন চিন’ গানটি গেয়ে শোনান।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আফরান নিশো ও মেহজাবীন। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ফয়ে’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে
ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রামে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরেই হয়েছিল সিনেমাটির শুটিং। সবুজে মোড়ানো এ শহরের সঙ্গে সুড়ঙ্গের অনেক স্মৃতি। চরকিতে সিনেমাটি দেখতে পারবে। যারা এখনো দেখোনি, তারা ফ্রি সাবস্ক্রিপশন নিয়ে এখনই দেখে ফেলো।’

আজকের এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় আবার শুরু হলো জিপিএ-৫ উৎসব। আয়োজনটি পাওয়ার্ড বাই ‘বিকাশ’। এতে সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।