আপিল বিভাগে তিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন খারিজ

সুপ্রিম কোর্টফাইল ছবি

বকেয়া আয়কর দাবি করে ব্যাংক হিসাব জব্দের বিরুদ্ধে বেসরকারি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও সাউথ ইস্ট ইউনির্ভাসিটি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ের পর বকেয়া আয়কর আদায়ের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করে। চেম্বার আদালত এ বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়ে আবেদনগুলো নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। ইতিমধ্যে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় বকেয়া আয়কর দাবি করে ব্যাংক হিসাব জব্দের বিরুদ্ধে ওই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দই থাকছে এবং তাদের কাছ থেকে বকেয়া আয়কর আদায় করা যাবে।’

আইনজীবীদের তথ্যমতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ে দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণাসংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আপিল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেওয়া হয়। আয়কর আইনের বিধান অনুসারে বকেয়া পরিশোধের (আয়কর) জন্য গত ৪ মার্চ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নোটিশ (চিঠি) দেয় এনবিআর। বকেয়া আয়কর না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে ওই তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পৃথক তিনটি আবেদন করে। আবেদনগুলো গত ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত এ বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওই দাবি ঘিরে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শুনানি হয়।

আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মুরাদ রেজা ও আইনজীবী ওমর সাদাত শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।