সংবাদ সম্মেলনে শহীদদের স্বজনেরা
সব বিডিআর জওয়ানকে নিরাপরাধ বলা ও তাঁদের মুক্তি দাবি অযৌক্তিক
গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত বিভিন্ন কমিশনের তদন্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নেপথ্যে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের নাম রাজনৈতিক কারণে বেরিয়ে আসেনি। তবে সিভিল কোর্ট ও বিডিআর কোর্টে বিপথগামী জওয়ানদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়। তাই অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত জওয়ানদের ঢালাওভাবে নিরপরাধ বলার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের মুক্তির দাবিও অযৌক্তিক। প্রকৃত দোষীদের সাজা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
আজ বুধবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের পরিবার ও বেঁচে ফেরা সেনা কর্মকর্তাদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পিলখানায় শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান খানের মেয়ে ফাবলিহা বুশরা। এ ছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্য ও বেঁচে ফেরা সেনা কর্মকর্তারাও তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
পিলখানায় শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর ছেলে সাকিব রহমান বলেন, ‘ঢালাও বলা হচ্ছে, যাঁরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাঁদেরও ছেড়ে দিতে হবে। এটা কী ধরনের কথা? বারে বারে একটা ন্যারেটিভের কথা বলা হচ্ছে যে শেখ হাসিনা ও ভারতই বুঝি এটা করিয়েছে। তারা এটা করাতে পারে। সেটা কমিশনকে বের করতে দেন। আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণও আছে। তবে যারা এটা করেছে, তাদের (বিডিআর জওয়ান) জেল থেকে বের করে দেবেন? এত বড় হত্যাযজ্ঞের পর আমরা বেঁচে থাকতে ন্যারেটিভ পরিবর্তন করে ফেলবেন, সেটা হবে না।’
ফাবলিহা বুশরা বলেন, অভিযুক্ত সৈনিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা গত ১৫ বছর কোনো দাবি নিয়ে মাঠে আসেননি। এখন তারা অযৌক্তিক দাবি তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করার অপচেষ্টা করছেন। এটি সেনা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াস বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন পিলখানায় শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌস, শহীদ সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল হান্নান, বেঁচে ফেরা সেনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কর্নেল সালাম, লেফট্যানেন্ট কর্নেল রিয়াজ প্রমুখ।