বিএনপি নেতা ওয়াহিদুজ্জামানসহ দুজনের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের মামলার আবেদন
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো এবং লেখক ও কলামিস্ট এ এফ এম রাশেদুল হক মল্লিক ওরফে মারুফ মল্লিক।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে এই মামলার আবেদন করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল আমিন বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। মামলার আবেদনের ওপর আদেশের জ্যন আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদে ১৮ ডিসেম্বর রাতে ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই সুযোগে কিছু ব্যক্তি সেদিন রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে আক্রমণ করায় এক দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আসামিরাসহ একটি সুযোগসন্ধানী মহল মাহমুদুর রহমান ও তাঁর পত্রিকা আমার দেশ-এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তাঁরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন। এতে জনমনে বিভ্রান্তি ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অবৈধ স্বার্থ হাসিলসহ তাঁর (মাহমুদুর রহমান) সামাজিক সম্মানহানির কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ১৯ ডিসেম্বর রাতে সাড়ে ১০টার দিকে মারুফ মল্লিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর পোস্ট করেন। মারুফ মল্লিকের পোস্টকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন ওয়াহিদুজ্জামান (এপোলো)। এরপর পরস্পর যোগসাজসে এই পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
মামলার আবেদনে বলা হয়, আসামিদের মিথ্যাচারের কারণে বাদী ও তাঁর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। পাশাপাশি পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলাকুশলী ও ব্যক্তিদের মানহানি করা হয়েছে। তাঁদের ব্যাপারে জনমনে শত্রুতা, ঘৃণা, অসন্তোষ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হয়েছে।