‘নোয়াখাইল্যা ব্ল্যাক ডায়মন্ড’–এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ

নোয়াখালীর খামারি রফিকুল ইসলামের খামারে বেড়ে ওঠা ৯০০ কেজি ওজনের গরু ‘নোয়াখাইল্যা ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। সম্প্রতি বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিপুর গ্রামেছবি: প্রথম আলো।

চারটি পা আর পেটের নিচের অংশ সাদা। এর বাইরে পুরো শরীর কুচকুচে কালো রঙের। ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৯০০ কেজি। গায়ের রঙের কারণে খামারি এই ষাঁড়ের নাম রেখেছেন ‘নোয়াখাইল্যা ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। এবার কোরবানির পশুর হাটে ষাঁড়টি বিক্রি করতে চান খামারমালিক। দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের খামারে লালন-পালন করা হয়েছে ষাঁড়টি। এটি দেখতে প্রতিদিনই তাঁর খামারে ভিড় করছেন আশপাশের এলাকার মানুষ।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষাঁড়টি খামারের সামনে বেঁধে রাখা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম ষাঁড়টিকে খাবার দিতে ব্যস্ত। ষাঁড়টি দেখতে স্থানীয় বাসিন্দা ও আশপাশের এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে ভিড় করেছেন।

এলাকার বাসিন্দা মো. মিলন বলেন, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকার খামারে বেড়ে ওঠা বড় আকারের ষাঁড়ের ভিডিও প্রায়ই দেখেন তিনি। নিজের এলাকায় এ ধরনের একটি ষাঁড় লালন-পালন করা হচ্ছে শুনে দেখতে এসেছেন। ষাঁড়টি দেখতে খুবই সুন্দর।

জানতে চাইলে খামারি রফিকুল বলেন, তিনি ও তাঁর বড় ভাই মো. জসিম চার বছর আগে শখের বশে ষাঁড়টি সংগ্রহ করে লালন-পালন শুরু করেন। ষাঁড়টির উচ্চতা পাঁচ ফুট এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ ফুট। শান্ত স্বভাবের ষাঁড়টিকে গম, ভুট্টা, ভুসি ও শুকনা খড় খাইয়ে বড় করেছেন। চাষ করা ঘাসও তেমন খাওয়াননি। প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টিকে মোটাতাজা করা হয়েছে।

রফিকুল বলেন, ‘১০ লাখ টাকায় ষাঁড়টি বিক্রির ইচ্ছা। এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনতে চাওয়া ক্রেতা রয়েছে। ১০ লাখ দাম না পেলে কিছুটা কমে হলেও এবারের কোরবানির পশুর হাটেই ষাঁড়টি বিক্রি করতে চাই।’

রফিকুল ইসলাম জেলার একজন নিবন্ধিত খামারি। এরপরও তাঁর ষাঁড়টির বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কাছে কোনো তথ্য নেই। জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, নোয়াখালীতে কোনো খামারে ৯০০ কেজি ওজনের ষাঁড় বেড়ে ওঠার খবর তাঁর জানা নেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেও এ বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।