খাদ্যনিরাপত্তায় মাছের অবদান নিয়ে মৎস্য মেলা

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাকটিভিটি’ প্রকল্প সমাপ্তি কর্মশালা ও মৎস্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: সংগৃহীত

‘ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাকটিভিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে মাছের ভূমিকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাংলাদেশের মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন। এ প্রকল্প মাছের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই প্রকল্পের সমাপ্তি কর্মশালা ও মৎস্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ নভেম্বর।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত উন্নয়ন নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জনগণের জীবন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং পানি সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে এ দেশকে সমৃদ্ধ করা। এ লক্ষ্য সামনে রেখে ইউএসএআইডির এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ডফিশ যেভাবে কাজ করেছে, আমি মনে করি এটিও বাংলাদেশের সাফল্যের যাত্রাপথে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএসআইডির ইকোনোমিক গ্রোথ অফিসের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট মোহাম্মাদ সাঈদ শিবলী বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে প্রাণিজ প্রোটিনের (আমিষ) চাহিদা পূরণে মাছের ভূমিকা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে।

এ সময় ইউএসএআইডির ইকোনোমিক গ্রোথ অফিসের উপপরিচালক জোসেফ লেসার্ড বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষকেরা প্রযুক্তি সুবিধা, মৎস্য চাষের উপকরণ ও বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়েছেন। সুবিধা পেয়েছেন টেকসই প্রযুক্তি, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিপণনের ক্ষেত্রেও। দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছেন আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের মাধ্যমে। এ প্রকল্প অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মৎস্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৎস্য উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পটির আওতায় ২৩টি জেলায় প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার মৎস্যজীবী সুফল পেয়েছেন। প্রকল্পটি মূলত বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। এর মাধ্যমে মাধ্যমে মাছের উৎপাদন থেকে ভোক্তার টেবিলে পৌঁছানো পর্যন্ত জড়িত সব অংশীজনকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে।