সিআইডি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করছে: আইজিপি

মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, ফাইন্যান্সিয়াল ও মানব পাচার প্রতিরোধ, সাইবার অপরাধ দমন ও অপরাধবিষয়ক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আরও গতিশীল ভূমিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

বুধবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শনে যান। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান সিআইডির প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) মোহাম্মদ আলী মিয়া। এরপর সিআইডির বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন আইজিপি।

এরপর সিআইডির গত এক বছরের অর্জন নিয়ে ‘স্মার্ট ইনভেস্টিগেশন সিআইডি’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন আইজিপি। মতবিনিময় সভায় সিআইডির বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানদের সঙ্গে শাখার কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। সিআইডির ইউনিটপ্রধানেরা ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও তাঁদের চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপন করেন। আইজিপি সবার বক্তব্য শোনেন এবং তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান দেন।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সিআইডি সরকারের বিভিন্ন ইউনিটসহ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করছে। সিআইডিতে সাইবার মনিটরিং সেল, মানব পাচার মনিটরিং সেল, প্রসিকিউশন সেলসহ নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি সিআইডিপ্রধানের প্রশংসা করেন। গ্রুপভিত্তিক তদন্ত কার্যক্রম, কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও ফরোয়ার্ড ডায়েরি মেইনটেইন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডিপ্রধান অপরাধ দমনে চলমান কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি সিআইডির আধুনিকায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে আইজিপির সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে দেশে–বিদেশে সাইবার ও ফরেনসিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং গবেষণা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। এ সময় সিআইডির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-অর্গানাইজড ক্রাইম) কুসুম দেওয়ান ও ডিআইজি (এইচআরএম) মো. মাইনুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।