সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে ১৬ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ফজলে করিম চৌধুরী ইতিমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া আজ আরও একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তবে আসামি পালিয়ে যেতে পারেন, সেই কারণে তাঁর নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষে আজ শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমান।
পরে সাংবাদিকদের গাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও অন্যান্য এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও অন্যান্য—এই দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্তকালে যেকোনো স্থান তল্লাশি ও যেকোনো বস্তু জব্দ করতে পারবেন, এমন পৃথক দুটি আবেদন করা হয়েছিল। সেটিও ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেছেন। আরেকটি আবেদন করা হয়েছিল, তা হলো তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো বস্তু জব্দ করলে সেটির জেনুইনিটি (সত্যতা) পরীক্ষা করাতে পারেন। সেই আবেদনও ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে গাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, ট্রাইব্যুনালের ১৯৭৩ সালের আইন ২০০৯ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। সেই সংশোধনে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল যে তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো কিছু তদন্ত করতে পারবেন। কিন্তু ২০২৪ সালের সংশোধনীতে তল্লাশি ও জব্দের ব্যাপারে আদালতের অনুমতি নেওয়ার একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে প্রতিটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আলাদাভাবে অনুমতি নেওয়া লাগছে।