তিতাসের ভুতুড়ে সংযোগ চিহ্নিত করা হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী
সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বিতরণ সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, অনেক গ্রাহক অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন, এঁদের কেউ কেউ আবার তিতাসের ব্যাংক হিসাবে নিয়মিত বিল পরিশোধ করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করতে হবে। এ ছাড়া তিতাসের হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ করা হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে সংস্থাটি।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, এখনো বাকি আছে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।
নসরুল হামিদ বলেন, তিতাসের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এলাকার জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এতে ৫০ কোটি ডলার বিদেশি অর্থায়ন পাওয়া যাচ্ছে, বাকিটা নিজস্ব অর্থায়নে হবে। শিল্পে অগ্রাধিকার দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে। তিতাসের ৩০ লাখ গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার বসাতে এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়ন পাওয়া যাচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হবে।