‘বাবাকে জীবিত ফেরত পাইনি, মামলা করে আর কী হবে’

মোস্তাফিজুর রহমানছবি: সংগৃহীত

নিখোঁজ হওয়ার ১৮ দিন পর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রহমতের বিল এলাকা থেকে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম মোস্তাফিজুর রহমান।
সীমান্তসংলগ্ন রহমতের বিল এলাকা থেকে আজ সোমবার সকালে মোস্তাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন।

মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মুস্তাফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘লাশ নয়, বাবাকে জীবিত চেয়েছিলাম।’

মুস্তাফা কামাল আরও বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় একটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন খবর দেন। পরে আমরা গিয়ে দেখি, সেটি আমার নিখোঁজ বাবার। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় মরদেহ আঞ্জুমানপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।’

মুস্তাফা কামাল বলেন, তাঁর বাবার চোখে আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, এক দিন আগে হত্যা করে সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় মরদেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় মামলা করতে চায় না ভুক্তভোগীর পরিবার। মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘মামলা করে কী হবে। আমরা কারও বিরুদ্ধে মামলা করব না। বাবাকে জীবিত ফেরত পাইনি। এখন আর মামলা করে কী হবে। আমরা কোনো ঝামেলায় যেতে চাই না।’

মুস্তাফা কামালের অভিযোগ, এ ঘটনার পেছনে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘নবী বাহিনী’ জড়িত থাকতে পারে। সীমান্তের ওপারে তারা বাবাকে হত্যার পর মরদেহ এপারে ফেলে রেখে যেতে পারে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রহমতের বিল সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

মোস্তাফিজুরের স্ত্রী খালেদা বেগমের সঙ্গে ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে কথা হয়। তখন তিনি বলেছিলেন, স্বামীকে জীবিত ফিরে পেতে চান তিনি। তবে তাঁর সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। আজ সকালে স্বামীর মরদেহ দেখে বারবার চেতনা হারাচ্ছিলেন তিনি।  

ছেলে মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘বাবার মরদেহ বাড়িতে আনার পর থেকে মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বারবার শুধু জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।’

মোস্তাফিজুর রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্র
ছবি: সংগৃহীত

এদিকে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্ত এলাকা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।