কারণ দর্শানো ছাড়া দুদকের কর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিধি বৈধ

সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি

কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ-সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিধিটি বহাল থাকছে।

দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে, কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়া কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায়। বিধিটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এখন বিধিটি নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিধিটি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের করা আবেদনটি নিস্প্রয়োজন ঘোষণা করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন

পরে দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ে বিধিটি বৈধতা পেল। বিধিটি বহাল থাকছে। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।’

বিধিটির ক্ষমতাবলে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণ করে দুদক। এরপর ৫৪ (২) বিধি ও বিধিটির ক্ষমতাবলে চাকরিচ্যুতির বৈধতা নিয়ে শরীফ গত বছর হাইকোর্টে রিট করেন।

বিধিটি নিয়ে দুদকের করা আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে শরীফ গত বছরের ১৬ জুন লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন।

২ মার্চ দুদকের করা আপিলের সঙ্গে শরীফের করা লিভ টু আপিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৬ মার্চ (আজ) তারিখ ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী আজ রায় হলো।

আরও পড়ুন

এর আগে ৫৪ (২) বিধি অনুসারে মো. আহসান আলী নামে দুদকের আরও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনিও এ বিধির বৈধতা নিয়ে রিট করেছিলেন। এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বিধিটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে দুদক পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে। এর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন। এ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছিল। গত বছর দুদক আপিল করে। এ আপিলের ওপর আজ রায় দিলেন আপিল বিভাগ।