পায়ের সঠিক মাপেই হোক স্কুল-জুতা

এপেক্সের ‘স্কুলস্মার্ট’ উদ্ভাবন করেছে একটি অত্যাধুনিক টুলছবি: এপেক্সের সৌজন্যে

নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা, নতুন স্বপ্ন, নতুন উদ্দীপনা। এই নতুনত্বের ছোঁয়া লাগে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে। নতুন বই, শ্রেণিকক্ষ আর সহপাঠীর সঙ্গে অনেকেরই নতুন ইউনিফর্ম। সঙ্গে মিল রেখে হয় নতুন স্কুল–জুতা।

সাধারণত অভিভাবকেরা তিন সময়ে সন্তানের জন্য স্কুল-জুতা কেনেন। সমাপনী পরীক্ষার পর, স্কুলে নতুন বছরের শুরুতে এবং জরুরি প্রয়োজনে। মাঝে মাঝে নতুন জুতা কিনতে গিয়ে বা কেনার পর অভিভাবকদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সেটা হোক সরাসরি দোকান থেকে কেনা বা অনলাইন স্টোর থেকে অর্ডার করা। এই সমস্যার সমাধানের জন্য এপেক্সের ‘স্কুলস্মার্ট’ উদ্ভাবন করেছে একটি অত্যাধুনিক টুল।

স্কুল-শিক্ষার্থীদের জুতা কেনার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ, স্কুল-জুতাসহ যেকোনো জুতা কিনতে গেলে অন্যতম বিপত্তি ঘটে পায়ের সঠিক মাপের জুতা বাছাই করা নিয়ে। জুতা পায়ে ‘ফিট’ না হলে সেটা চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফিট মানে কিন্তু আঁটোসাঁটো বা একেবারে ঢিলেঢালাও নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জুতা পায়ে ফিট হওয়া বলতে বোঝায়, সেটি আরামদায়ক হতে হবে। ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন স্পেশালিস্ট অধ্যাপক সোহেলী রহমানের মতে, জুতা পরলে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের সামনে অন্তত এক সেন্টিমিটার জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

বিশ্বব্যাপী তিন ধরনের জুতার মাপ হয়ে থাকে—ইউরোপ, আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য সাইজ। বাংলাদেশে ইউরোপ-সাইজটা বেশি মেনে চলা হয়। সঠিক মাপের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি দিয়ে যাচাই করে জুতা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

সম্প্রতি এপেক্সের ‘স্কুলস্মার্ট’ নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক একটি পায়ের সঠিক মাপের পদ্ধতি যা ‘ফুট মেজারিং টুল’ হিসেবে পরিচিত। এটি স্কুলপড়ুয়া শিশুর সঠিক মাপের স্কুল-জুতার সন্ধান দিতে সহযোগিতা করবে। তাই আরামদায়ক, টেকসই এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্কুল-জুতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে এপেক্সের ‘স্কুলস্মার্ট’। কারণ, এতে রয়েছে ছেলে–মেয়ে উভয়ের জন্য সাদা ও কালো রঙের আকর্ষণীয় ফিচারসমৃদ্ধ স্কুল–জুতার সংগ্রহ। অভিভাবকেরা এপেক্সের অনলাইন–অফলাইন যেকোনো স্টোর থেকে দেখেশুনে পায়ের সঠিক মাপ দিয়েই বেছে নিতে পারবেন সন্তানের জন্য সঠিক জুতা।

সঠিক পরিমাপের জুতা কেন জরুরি

স্কুলপড়ুয়া শিশুরা দিনে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা জুতা পায়ে রাখে। সে ক্ষেত্রে স্কুল-জুতা যদি আরামদায়ক না হয়, তাহলে শিশুদের জন্য তা অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকারক হতে পারে। মূলত জুতার সাইজ এবং গুণগতমানের সঙ্গে আরামের সম্পর্ক। তাই সন্তানের জন্য খুঁজতে হবে আরামদায়ক, টেকসই এবং তার পায়ের সঠিক মাপের স্কুল-জুতা।

ভুল মাপের জুতা পরার কারণে পায়ে ফোসকা পড়া, চামড়া কেটে বা ছিলে যাওয়া, ত্বকে জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি হয়। পায়ের নখ থেকে শিশুর পায়ের বিকাশ এবং সামগ্রিক পায়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অস্বস্তি এবং ব্যথা থেকে বিকৃতি, সংক্রমণ, দুর্বল ভঙ্গি ইত্যাদি হতে পারে। ভারসাম্যহীনতার কারণে ভুল আকারের জুতাও শিশুর নিরাপত্তাকে ব্যাহত করে।

ভুল মাপের বা আরামহীন স্কুল-জুতা কেনার পেছনে মূল কারণ হলো, পায়ের সঠিক মাপ বলতে বা বের করতে না পারা। সে জন্য অভিভাবকদেরই সন্তানের স্কুল-জুতার সঠিক মাপকে গুরুত্বসহকারে জানতে হবে।

উল্লেখ্য, সঠিক সাইজের স্কুল-জুতা বাছাই করার জন্য এপেক্সের স্কুলস্মার্ট ব্র্যান্ডের রয়েছে বিশেষ উদ্যোগ, যার মাধ্যমে অভিভাবকসহ দায়িত্বশীলদের সঠিক মাপের জুতা পছন্দ করতে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।