পাহাড় কেটে গরুর খামার আওয়ামী লীগ নেতার

ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড় কাটার পর সেখানে খামার নির্মাণ করা হচ্ছিল
ছবি: সংগৃহীত

পাহাড় কেটে গরুর খামার করছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. জহুরুল আলম ওরফে জসিম। অনুমোদনহীনভাবে পাহাড় কাটার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেই খামার উচ্ছেদ করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ  শনিবার সকালে নগরের আকবর শাহ এলাকায় এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে কাউন্সিলর জহুরুল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নগরের আকবর শাহ এলাকায় একটি পাহাড় খাড়াভাবে কাটা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড় কাটার পর সেখানে খামার নির্মাণ করা হচ্ছিল। এতে যেকোনো সময় পাহাড় বা নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অভিযানের সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি নিজেই এই গরুর খামার করছেন বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয় এবং নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নগরের আকবর শাহ এলাকায় একটি পাহাড় খাড়াভাবে কাটা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই সে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন জায়গার মালিকসহ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় কাউন্সিলর জহুরুল আলম ওরফে জসিমের নিয়ন্ত্রণে আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় কাটা চলছে। তাঁর অনুসারীরা মূলত এখানে সরকারি খাস ও রেলওয়ে পাহাড় দখল করে বিক্রি করে থাকেন। জহুরুল আলম উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। ২৬ জানুয়ারি আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে গেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে ঢিল ছোড়েন কাউন্সিলর জহুরুল আলমের অনুসারীরা।